মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জে তাবলীগ জামাতে আমির ও শংকরখালী মসজিদের মুয়াজ্জিন মোঃ রফিকুল ইসলাম কবিরাজ (৫৮) কে হত্যার পর লাশ ব্রিজের কার্ণিশে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে পুলিশ শংকরখালী ব্রিজের নিচে থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। রফিক কবিরাজ ওই গ্রামের দাদন কবিরাজের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানায়, রোববার ভোরে প্রতিদিনের ন্যা য় ফজর নামাজের আযান দেয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন রফিক কবিরাজ। স্থানীয়রা নামাজ শেষে বের হলে ব্রিজে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায়। পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্ত্রী লুবনা বেগম (৫০) জানান, কয়েকদিন ধরেই তাঁকে ও তার ছেলে কে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল দুর্বত্তরা। ধারনা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ভোরে কোন এক সময় তাঁর স্বামীকে মসজিদে যাবার সময় হত্যাট করেছে। এরপর ব্রিজের নিচে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার ঘটনা সাজানোর চেষ্টা করেছে। এ কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তিনি আরো বলেন, পাশের বাড়ির এক চাচাতো ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধও ছিলো।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রফিক কবিরাজ একজন সরল প্রকৃতির মানুষ। তিনি গালিমপুর ইউনিয়ন তাবলীগ জামাতের আমির ও শংকরখালী মসজিদের মুয়াজজ্জিন। তিনি আত্মহত্যাে করতে পারেন না। তাঁকে হত্যাা করা হয়েছে। এদিকে রফিক কবিরাজের এ মৃত্যুর খবর পেয়ে মুসল্লী ও তাবলীগ জামাতের লোকজন তার বাড়িকে ছুটে আসে।

প্রতিবেশী আসমা বেগম বলেন, ঘটনা খুব রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। কারণ সে তো ভোরে প্রতিদিনই মসজিদে গিয়ে আযান শেষে মুসল্লীদের ডাকে। আজ কোনো সারা শব্দ ছিলো না।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্যম ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যরবস্থা নেয়া হবে।